গোসলের দৃশ্যধারণ করে শিক্ষিকার কাছে টাকা দাবি ও কুপ্রস্তাব
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় স্কুল শিক্ষিকার গোসলের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে চাঁদা দাবি ও কুপ্রস্তাব দিত তিন বন্ধু। এ ঘটনায় রবিবার রাতে ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো বালিয়াটি ইউনিয়নের ভাটারা গ্রামের মো. হাসুমিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন, মহর আলীর ছেলে রমজান আলী ও ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম।
স্কুল শিক্ষিকা জানান, গত ২২ আগষ্ট স্কুল শেষ করে নিজ বাড়িতে গোছল করতে যাই। এসময় এলাকার বখাটে যুবক নাজমুল হোসেন আমার গোসল খানার টিনের ছিদ্র দিয়ে আমার গোছলের দৃশ্য ধারণ করে। এরপর বখাটে নাজমুল তার বন্ধু সাইফুল ইসলাম ও রমজান আলীকে গোছলের দৃশ্য তাদের মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়। ওই দুই বন্ধু আমার গোছলের দৃশ্য আমার মোবাইলে পাঠিয়ে দিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। স্কুল শিক্ষিকা আরও জানান, এসব বখাটেরা এলাকায় নেশা করে এবং এলাকার উঠতি বয়সের মেয়েদের ছবি তুলে প্রতারণা করে চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, বখাটে তিন যুবকের মধ্যো দুজনের মোবাইল জব্দ করা হয়। ওই মোবাইল ফোন দেখে আরো বেশ কিছু মেয়ের নগ্ন ছবি পাওয়া যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামিরা ওইসব মেয়ের সাথে একই প্রতারণা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়।
সাটুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, স্কুল শিক্ষিকার অভিযোগের পর ভাটারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাদের মোবাইল ফোনে ঢুকে আরও কিছু মেয়ের ছবি পাওয়া যায়। ওইসব মেয়েদের ভয়ভীতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আসছিল।
এ বিষয়ে ওই স্কুল শিক্ষিকা বাদী হয়ে থানায় পর্ন্যেগ্রাফি মামলা দায়ের করেছেন। আসামাীদের জেলে প্রেরণ করা হয়েছে বলে এই কর্মকর্তা জানান।
0 Response to "গোসলের দৃশ্যধারণ করে শিক্ষিকার কাছে টাকা দাবি ও কুপ্রস্তাব"
Post a Comment