-->
কেরানি যখন সভাপতি!

কেরানি যখন সভাপতি!

শিক্ষাব্যবস্থার প্রথম স্তর হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। আর প্রাথমিক শিক্ষার টেকসই ভিত্তি তৈরি তথা গুণগত মান বৃদ্ধিই একটি শিক্ষিত জাতি বিনির্মাণের অন্যতম পূর্বশর্ত। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান পরিবর্তনে যেমন শিক্ষক, অভিভাবক ও কর্মকর্তাদের ভূমিকা রয়েছে, একইসঙ্গে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বিদ্যালয়ের অভিভাবক এবং ব্যবস্থাপনা কমিটি। আর এই ব্যবস্থাপনা কমিটির মধ্যেই যদি থাকে গলদ তাহলে শিক্ষাব্যবস্থা কি হবে?

এমনি এক ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর তুরাগের বাউনিয়া আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়টিতে কেরানির চাকরি করা একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা কিভাবে সভাপতি হয় তা নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষকসহ অভিভাবক কমিটির সদস্যদের মধ্যে।

জানা যায়, সাবেক ১৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত এমপি সাহারা খাতুন ২০১৮ সালে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে দুই বছরের মেয়াদে মাহাবুবুল ইসলাম ইকবালকে সভাপতি নির্বাচন করেন। কিন্তু তৎকালীন এমপি জানতেন না মাহাবুবুল ইসলাম ইকবাল এই স্কুলের একজন কেরানির দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তার অনুসারি হওয়ায় তাকে তখন স্কুলের সভাপতি করা হয়। ২০১৮ সালের স্কুল কমিটির নির্বাচন হলেও ২০২০ সালে কোন নির্বাচন হয়নি স্কুলটিতে কিন্তু এই পর্যন্ত তিনবার আহবায়ক কমিটি করা হয় যার আহবায়ক ইকবাল মাস্টার নিজেই।

আরো পড়ুনঃ প্রাথমিক শিক্ষকদের বড় সুখবর দিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

জানা যায়, নির্বাচন ছাড়া বর্তমান এমপি আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাবিব হাসান তাকে দুইবার আহবায়ক কমিটির সভাপতিও করেন কিন্তু তিনিও কেরানি চাকরির বিষয়টি জানতেন না বলে জানান।

বিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের স্কুলে অভিভাবক কমিটির নির্বাচনের পর এই ৫ বছরে শিক্ষার অবস্থা অনেকটা খারাপের দিকে চলে গেছে ২০১২ সালে আমাদের স্কুল ঢাকা বোর্ডে মেধা তালিকায় ১৭ নাম্বার অবস্থানে ছিল এখন কোন অবস্থানেই নেই বললেই চলে। সাবেক অভিভাবক কমিটি থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ছিল প্রায় ১৮০০ জনের মত, কিন্তু ২০১৮ সালের অভিভাবক নির্বাচনের পর প্রয়াত এমপি সাহারা খাতুন একই স্কুলের কেরানির চাকরি করা মাহাবুবুল ইসলাম ইকবালকে সভাপতি পদে বসান।

আরো পড়ুনঃ একই পরিবারের ৫ শিক্ষক দিয়েই চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়

শিক্ষকরা আরো জানান, সাবেক হরিরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তাকে এ পদে তাকে বহাল রাখেন। কিন্তু কিভাবে একজন স্কুলের কেরানি হঠাৎ করে গভর্নিং বডির সভাপতি হয় তা নিয়ে প্রশ্ন অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে কেরানির চাকরি পান মাহবুবুল ইসলাম ইকবাল ৫ বছর চাকরি করেই নিজেই চারটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হয়ে জান তা নিয়ে প্রশ্ন অভিভাবকসহ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির।

স্কুলের বেশকিছু শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, তিনি সভাপতি হিসেবে স্কুলে আসার পর থেকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী কমে যাচ্ছে তিনি তার প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে সভাপতি হওয়ায় আগে আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থী ছিল ১৮০০ জনের মত বর্তমানে মাত্র ৮০০ জনের মত আছে। কিন্তু তার স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। তার প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, আব্দুল্লাহ মেমোরিয়াল স্কুল, ছায়মুননেসা গার্লস স্কুল, বাদালদি সোনামিয়া ফাউন্ডেশন, তুরাগ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই সব কয়টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হলেন তিনি।

জানা যায়, ইকবার মাস্টার লিখিতভাবে স্কুল থেকে চাকরি না ছেড়ে ২০০২ সালে মৌখিকভাবে স্কুলের চাকরি ছেড়ে দেন। চাকরি ছাড়ার পরও দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ সে আর চাকরি করেন না। কিন্তু হঠাৎ করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের একটি সেলারি শিটে তার নামে ১১ হাজার ৬৮৮ টাকা বেতন পান এমন একটি কাগজ আসে শিক্ষা ডটকমের প্রতিবেদকের কাছে। মৌখিকভাবে চাকরি ছাড়ার ২০ বছর চাকরি না করে কোন ক্লাস না নিয়ে তার নামে কিভাবে সেলারি শিটে নাম আসলো তা নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষকদের মাঝে।

শিক্ষকরা আরো জানান, ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারিতে সাবেক প্রধান শিক্ষক সিরাজুল হক মাস্টার শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা যান। সিরাজুল হক মারা যাওয়ার পর ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান মো. আব্দুস সামাদ। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে আব্দুস সামাদ শিক্ষকদের পিএফ ফান্ডের ৫৪ মাসের টাকা জমা না দিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের কাছে রেখে দেন। আত্মসাৎ করা উদ্দেশ্যে। ঘটনাটি যখনই প্রকাশ পায় তখন থেকেই কিছু কিছু টাকা শিক্ষকদের দেন।

শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষককে টাকা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা দিয়ে স্কুলের বিল্ডিং নির্মান করেছি। আর এ টাকার ঘটনাটি প্রকাশ পায় ২০২২ সালে স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক আমিনুল ইসলাম অবসরে চলে গেলে তার পিএফ ফান্ডের টাকা উঠাতে গেলে তার সম্পূর্ণ টাকা তার অ্যাকাউন্টে পান না। পরে বিষয়টি যাচাই করতে স্কুলের আরেক সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রহমান তার পিএফ ফান্ডের টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট উত্তোলন করেন আর সেখানে দেখতে পান ২০১৫ সাল থেকে তাদের পিএফ ফান্ডে টাকা জমা হচ্ছে না পরে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকরা তাদের ব্যাংক স্টেটমেন্ট উত্তোলন করেন এবং দেখতে পান ২০১৫-২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৫৪ মাস তাদের পিএফ ফান্ডের কোন টাকা জমা হয়নি।

অনুসন্ধানে কয়েকজন শিক্ষকের বকেয়া বেতনের একটি তালিকা এসেছে শিক্ষা ডটকমের প্রতিবেদকের হাতে। সেখানে দেখা যায় সিনিয়র শিক্ষক আলমাছ উদ্দিনের তিন বছরে ২ লাখ ১২ হাজার, শামসুল হকের দুই বছরে ১,৩৮,৬০০ টাকা, তাসলিমা আখতারের দুই বছরে ১,৩৮,৬০০ টাকা, জিয়াসমিন ফারজানার দুই বছরে ১,২৭,২০০ টাকা, সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেনের দুই বছরে ৯৩,১২০ টাকা এবং আতিকুর রহমানের দুই বছরে ১,০৬,২০০ টাকা বকেয়া রয়েছে।

শিক্ষা ডটকমের দীর্ঘ অনুসন্ধানে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিদ্যালয়টির সকল শিক্ষকদের নামে ভবিষ্যৎ কল্যাণের জন্য জনতা ব্যাংকের উত্তরার কর্পোরেট শাখায় প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) জন্য পৃথক সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হয়। পিএফের টাকা প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ ও অফিস সহকারী নুরুল ইসলামের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দেয়া হয় প্রতিমাসে। শিক্ষারগুণ অভিযোগ করে বলেন যৌথভাবে ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শিক্ষকদের ৫৪ মাসের প্রায় ১৫ লাখ টাকা ফান্ডে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন তারা।

অপরদিকে ২০২০ সালে ১২০০ শিক্ষার্থীর নিকট হতে পরিচয়পত্রের নামে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয় কিন্তু কোন পরিচয়পত্র দেয়া হয়নি। পরে কিছু সংক্ষক টাকা ফিরিয়ে দেন।

এছাড়াও বাউনিয়া আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম ইকবাল, প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ ও অফিস সহকারী নুরুল ইসলামের যোগসাজশ করে করোনার অযুহাত দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষক ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের এক বছরের বেতনের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার পায়তারা করে যাচ্ছেন। কিন্তু করোনাকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ঠিকই আদায় করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের দেয়া হয়নি।

ভুক্তভোগী শিক্ষকরা চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক স্টেটমেন্ট তুলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা জমা না হওয়ার তথ্য জানতে পারেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের মধ্যে আটজন শিক্ষক-শিক্ষিকা অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সাংসদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের উপ-পরিচালক এবং জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রতিকার চেয়ে গত ২২ মার্চ আবেদন করেন।

কিন্তু তবুও কোন সুরাহা না পেয়ে ভুক্তভোগীদের মধ্যে শিক্ষক আলমাছ উদ্দিন চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে একটি (সিআর মামলা নং-১০৬/২২) করেন। বাদী ওই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ৩২ বছরে ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে এবং তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

টাকা আত্মসাৎতের ঘটনায় করা মামলার বাদী আলমাছ উদ্দিন শিক্ষা ডটকমের বলেন, '২০১৪ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান শিক্ষক সিরাজুল হক মাস্টার মারা যাওয়ার পর প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মো. আব্দুস সামাদ যোগদান করার পর থেকে এই পর্যন্ত আমাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে । আমরা আগে জানি নাই বুঝি নাই, শুধু জমার শিটে স্বাক্ষর করেছিলাম। পরে একেক করে সবাই ব্যাংক স্টেটমেন্ট তোলার পর জানতে পারি আমাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ঠিকঠাক জমা হয়নি। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক বরাবর আমরা বেশ কিছু শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে আমাকে ১৫ দিনের জন্য সাসপেন করে দেন এবং নন এমপিও এক শিক্ষককে মৌখিকভাবে চাকরিচ্যুত করেন পরে বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে অভিযোগ করলে গভর্নিং বডির সভাপতি ইকবাল মাস্টার আমাদের আবার চাকরিতে বহাল করেন। কিন্তু আমাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের সব টাকা জমা দেননি এখনো । এ ঘটনায় সব জায়গায় অভিযোগ করেও কোন সুরহা না পেয়ে আদালতে গিয়ে মামলা করছি।

তিনি আরো বলেন, প্রতিবাদ করায় গত ২৬ মার্চ স্কুলের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে অফিসে ডেকে নিয়ে সবার সামনেই আমাকে বলছে-আগামীকাল থেকে আপনি আর স্কুলে আসবেন না। আসলে ফুটবলের মত লাথি দিয়ে বের করমু। তাই তাদের ভয়ে কেউ সহজে মুখ খুলে প্রতিবাদ করতে চায় না। প্রতিবাদ করায় আমাকে মৌখিক কয়েকবার সাসপেন্ড করছে, আবার জয়েন্ট করিয়েছে।'

মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেন, 'টাকা আত্মসাৎ করার ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকার পরও পিবিআই অফিসার চার্জশিট নিয়ে পায়তারা করছে। দেয় দিচ্ছে, এমন করছে। আবার চার্জশিটে টাকা আত্মসাৎতের বিষয় দিতে পারবে না তা বলছে।

অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, কেউ মুখ খুললেই চাকরি থাকে না। নন এমপিও শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করে দেয়া হয়। এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের ক্লাস নেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। সব কিছুই চলে মৌখিক আর প্রভাবের বলে। এভাবেই তারা আমাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

টাকা আত্মসাৎ প্রসঙ্গে বাউনিয়া আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সামাদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে মামলা চলমান। এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না।

অপরদিকে অফিস সহকারী মো. নুরুল ইসলাম শিক্ষা ডটকমের বলেন, 'প্রতিহিংসার কারণে মামলা করা হয়েছে। প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা কেউ আত্মসাৎ করেনি, বকেয়া রয়েছে। আস্তে আস্তে দিয়ে দেয়া হবে।

২০ বছর চাকরি না করে বেতন নেয়া ও বিদ্যালয়ের এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মাহবুবুল ইসলাম ইকবালের কাছে সরেজমিনে গিয়ে না পেয়ে তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই (অর্গানাইজড ক্রাইম) এর এসআই নুরুজামান জানান, মামলার তদন্তে আমরা মৌখিকভাবে চাকরিচ্যুত এবং ভয়-ভীতির হুমকি ধমকির বিষয়টি পেয়েছি। কিন্তু প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আত্মসাৎতের বিষয়টি অডিট রিপোর্ট ছাড়া বলতে পারছি না। অডিট রিপোর্টে তারা দেখায়নি। অডিট রিপোর্ট হয়তো টাকা পয়সা দিয়েছে।

এক বছরের পাওনা বেতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্কুলের ফান্ডে যদি টাকা আসে, আর যদি শিক্ষকদের বেতন না দেয়া হয় তাহলে দুর্নীতির বিষয়টি বলা যাবে।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল মজিদ বলেন, এ বিষয়টি আমার নলেজে আসেনি। মামলা হলে তো প্রতিকার হবেই। আর টাকা যদি প্রতিষ্ঠানে থাকে, তাহলে আগে যে হারে বেতন পাইতেন সে হারেই দিয়ে দেয়া উচিত বলে মনে করি।

উল্লেখ্য, প্রতিবেদক এমন দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করতে গেলেই বিষয়টি সামনে আসে। পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এ সিন্ডিকেটের অন্যরা আলাপ করে। শিক্ষকদের দুই মাসের টাকা ব্যাংকে দেন এবং আহবায়ক কমিটির তফসিল ঘোষণা করেছে যার একটি কপি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

------------------------------

শিক্ষা ডটকমের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন


প্রাইমারি, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, বৃত্তি, উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি সংবাদ শিরোনাম, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, ছবি, ভিডিও পেতে শিক্ষা ডটকমের ফেইসবুক গ্রুপে ফলো করুন ( ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে )।


শিক্ষা ডটকমের ফেইসবুক পেইজঃ শিক্ষা - Shikkhaa.com | Facebook

0 Response to "কেরানি যখন সভাপতি!"

Post a Comment

Ads