ডিজি নেই ৩ মাস, প্রাথমিক অধিদপ্তরে স্থবিরতা

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে তিন মাস ধরে চলছে মহাপরিচালক বা ডিজি ছাড়া। মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন মো. মুহিবুর রহমান। কিন্তু পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজি না থাকায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে অধিদপ্তরে। চলতি বছরের ১৩ই জুন থেকে ডিজি ছাড়াই চলছে ডিপিই। ডিজির পদ শূন্য থাকায় গত ২৯শে আগস্ট নিয়োগ দেয়া হয় শাহ রেজওয়ান হায়াতকে। এরই মাঝে ১৫ দিন হয়ে গেলেও যোগদান করতে পারেননি তিনি। 

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চলছে অস্থিরতা। গত কয়েকদিন ধরেই শব্দ আসছে গোলাগুলির। নতুন করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে রোহিঙ্গা আসারও খবর মিলেছে। কক্সবাজারে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বরত আছেন শাহ রেজওয়ান হায়াত। জানা যায়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অস্থিরতা বিরাজ করায় যোগদান করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে তার। 

নতুন ডিজি যোগদান না করায় ডিপিইতে থমকে আছে অনেক কাজ।

রুটিন দায়িত্বে থাকা ডিজি শুধু অভ্যন্তরীণ ফাইলে স্বাক্ষর করেন। মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় যেসব ফাইল সেসব অনেক ফাইলে স্বাক্ষর না হওয়ায় ডিপিইতে বড় হচ্ছে ফাইলের স্তূপ। ডিজি না থাকায় ভুক্তভোগী হচ্ছেন অনেকেই। একজন ভুক্তভোগী বলেন, আমাদের এই সময়ে কোনো নতুন পরিকল্পনায় সুফল মেলেনি। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নতুন পরিকল্পনা, অভিযোগের ক্ষেত্রেও কোনো সুফল মেলেনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য মাসখানেক আগে একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা ও অবকাঠামো চাহিদার দরখাস্ত পাঠানো হয়। ডিপিইতে যোগাযোগ করা হলে বলা হয় পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজি নিয়োগের পরই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

একই কথা বলেন- রাজধানীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রোফাইলিং ত্রুটি দূর করা ও গ্রেড আপডেটের আবেদন করেছি এক মাস আগে। সাধারণত এই কাজ সপ্তাহখানেকের মধ্যেই আমলে নেয় ডিপিই। প্রোফাইলিংয়ের বিষয় আমলে নেয়া হলেও গ্রেড আপডেটের বিষয়টি আমলে নেয়া হয়নি। ডিজি যোগদানের পরই এই বিষয়ে ফয়সালা হবে।

ডিপিইতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধিদপ্তরের কাজ স্বাভাবিক নিয়মে চললেও পলিসি ও অপারেশন বিভাগের অনেক কাজ থমকে আছে। আবার অনেক শিক্ষকের অবসরকালীন ভাতার ফাইলও আটকে আছে একই কারণে। অবসরকালীন সুবিধার ফাইল বেশির ভাগই সমাধান হয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে। কিন্তু হাতবদল হয়ে যেসব ফাইল ডিপিইতে সমাধানের জন্য আসে এসব পড়ছে দীর্ঘসূত্রতায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিই’র পলিসি অ্যান্ড অপারেশন সহকারী পরিচালক তাপস কুমার আচার্য বলেন, আমাদের স্বাভাবিক কাজকর্মে কোনো প্রভাব পড়েনি। গতিশীল আছে। আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ডিজি না থাকায় নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। পূর্বের নিয়মে যেসব চলছিল সেসবই রুটিন দায়িত্বে থাকা ডিজি স্বাক্ষর করছেন। কিন্তু নতুন পলিসির ফাইলগুলো আটকে আছে। এ ছাড়া ছুটি, বিদেশ ভ্রমণ, চিকিৎসা ভাতার আবেদন এসব নিয়ে কোনো সমস্যা তৈরি হচ্ছে না। আবার সামনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি, নিয়োগকেন্দ্রিক অনেক কাজই আছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নতুন ডিজি যখন স্বাক্ষর করা শুরু করবেন তখন থেকে এই সমস্যা দূর হবে।

------------------------------

শিক্ষা ডটকমের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

প্রাইমারি, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, বৃত্তি, উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি সংবাদ শিরোনাম, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, ছবি, ভিডিও পেতে শিক্ষা ডটকমের ফেইসবুক গ্রুপে ফলো করুন ( ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে )।

শিক্ষা ডটকমের ফেইসবুক পেইজঃ শিক্ষা - Shikkhaa.com | Facebook