বৈষম্য নিরসনে সহকারী শিক্ষকদের ১১ দফা দাবি
দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহকারী প্রধান শিক্ষকরা নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করছে বাংলাদেশ সহকারী প্রধান শিক্ষক পরিষদ।
এসব বৈষম্য নিরসনে ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় বাংলাদেশ সহকারী প্রধান শিক্ষক পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি ও ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম।
সহকারী প্রধান শিক্ষকদের দাবি সমূহ হলো-
১. গত বছরের ২৮ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত জনবল কাঠামো ও এমপিও নির্দেশিকা অনুযায়ী ১০ বছর ও ১৬ বছর সন্তোষজনক চাকরি শেষে সহকারী প্রধান শিক্ষকগণকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুটি উচ্চতর গ্রেড প্রদান করা।
২. প্রশাসনিক কাজের সমস্যা সমাধান, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, কাজে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষকগণকে ম্যানেজিং কমিটি/গভর্ণিং বডিতে পদাধিকারবলে সহকারী সদস্য সচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা।
৩. সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন দফতর/সংস্থা/অফিস কর্তৃক সময় সময় চাহিদার ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক রিপোর্ট তৈরি/দাখিলের সময় সহকারী প্রধান শিক্ষকগণকে সম্পৃক্ত করা এবং তাদের স্বাক্ষর নেওয়া জরুরি। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, সকল আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা আনয়নসহ নানাভাবে প্রতিষ্ঠানের তহবিল তছরুপ বন্ধ করার লক্ষ্যে অর্থ ব্যয় সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী সকল ধরনের বিল-ভাউচারে স্বাক্ষর দেওয়ার পর সহকারী প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষর করবেন। তারপর প্রতিষ্ঠান প্রধান স্বাক্ষর করে ম্যানেজিং কমিটি/গভর্ণিং বডিতে অনুমোদন করাবেন এই মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা।
৪. অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়/ স্কুল এন্ড কলেজে প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালনরত সহকারী প্রধান শিক্ষকের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করা।
৫. সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে কমপক্ষে তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে যাতে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষ পদে আবেদন করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পেতে পারেন সেই সুযোগ প্রদান করা।
৬. উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়/স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষ পদের সাথে সামঞ্জস্য বিধানের লক্ষ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদটিকে উপাধ্যক্ষ পদে উন্নীত করা (যা বর্তমানে সমমানের মাদরাসায় বিদ্যমান)।
৭. চলমান শিক্ষাক্রম/ভবিষ্যত শিক্ষাক্রম শিক্ষা ব্যবস্থাপনা/শিক্ষা প্রশাসনের সময়োপোযোগী ধ্যান-ধারণার সাথে তাল মিলিয়ে চলার লক্ষ্যে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর ইন সার্ভিস প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
৮. প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সকল পদে কর্মরতদের যুগোপযোগী চাকরুবিধি প্রণয়ন করা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৯. উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করা এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে ডেপুটেশনে কাজ করার সুযোগ প্রদান করা।
১০. প্রতিষ্ঠান প্রধান পদে 'এক্সটেনশন'প্রদান কিংবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান বন্ধ করা এবং অবিলম্বে প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সহকারী প্রধান শিক্ষকের সকল শূন্য পদ এনটিআরসির মাধ্যমে পূরণ করা।
১১. কর্মক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত সরকারিভাবে তদারকির ব্যবস্থা করা।
0 Response to "বৈষম্য নিরসনে সহকারী শিক্ষকদের ১১ দফা দাবি"
Post a Comment