‘ছুটি না দেওয়ায়’ প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ, উদ্ধার করল পুলিশ
বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের দড়িয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাদ হোসেন জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ৬ সেপ্টেম্বর ছুটি চেয়ে একটি আবেদন করেন। কিন্তু ওই সময় আমি নিজেই অসুস্থতার জন্য ছুটিতে ছিলাম। ছুটির জন্য যথাযথভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককের কাছে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হন।
পরে ৬ তারিখে অনুপস্থিত থাকার পরও বিদ্যালয় হাজিরা খাতায় নৈমিত্তিক ছুটি শব্দটি লেখেন। পরে সেটি কেটে সেখানে অনুপস্থিত লেখলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার এলাকার লোকজন ডেকে এনে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ সময় তিনি এলাকাবাসীকে নিয়ে একটি মানববন্ধনসহ বিভিন্ন অশ্লীল স্লোগান দিতে থাকে ও অফিস কক্ষের চারদিকে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, এগুলো যা করেছে সব এলাকার লোকজন করেছে আমি কিছুই করি নাই। তবে প্রধান শিক্ষকের বিদ্যালয়ের পাঠদান থেকে বিরত, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল বিষয়ে অভিযোগ করেন। তাকে অবরুদ্ধের বিষয়টি অস্বীকার করেন গোলাম মোস্তফা।
এ বিষয় বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম শিক্ষা ডটকমকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অবরুদ্ধ অবস্থায় প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করা হয়। যথাযথভাবে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাশিদা খাতুন শিক্ষা ডটকমকে জানান, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসাবে একজন বিদ্যালয়ের প্রধান বিরুদ্ধে মানববন্ধন বা অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 Response to "‘ছুটি না দেওয়ায়’ প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ, উদ্ধার করল পুলিশ"
Post a Comment