-->
ছুটি নিয়ে এক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলশিক্ষিকা

ছুটি নিয়ে এক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলশিক্ষিকা


নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা এক মাসের ছুটি নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন বলে জানা গেছে। তার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানপ্রধানসহ অন্যান্য সহকর্মী ও শিক্ষা অফিসার কারো কাছে কোনো তথ্য নেই।

এদিকে ওই শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় তার ক্লাসগুলো স্কুলের অন্য শিক্ষকরা সমন্বয় করে চালাচ্ছেন। এতে তাদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো ওই শিক্ষকের নাম মোছা. আশরাফী। তিনি সৈয়দপুর শহরের রহমাতুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সপরিবারে একপ্রকার লাপাত্তা।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মোছা. আশরাফী  ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ থেকে ১১ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে স্কুল থেকে ছুটি নেন। পরে তিনি সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এর পর থেকে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই।
 
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক হাফিজা খাতুন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী অসুস্থ শাশুড়িকে দেখার জন্য গত বছর এক মাসের ছুটির আবেদন করেন আশরাফী। পরে ডিজির অনুমতি সাপেক্ষে বিদেশে চলে যান তিনি। তবে যাওয়ার সময় ছুটি মঞ্জুরির কোনো কাগজ বা প্রমাণপত্র বিদ্যালয়ে বা উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেননি ‘
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, আশরাফী মূলত শাশুড়ির অসুস্থতার অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। পাশাপাশি চাকরিও করছেন। এ ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকসহ উপজেলা শিক্ষা অফিসার অবগত এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও তারাই ম্যানেজ করে রেখেছেন।

আশরাফীর ভাই কামাল ইকবাল ফারুকীর সঙ্গে যোগাযোগ কেরলে তিনি কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে বোনের কর্মস্থলে অনুপস্থিতির বিষয়েও কোনোরকম মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান আলী মন্ডল বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছিলাম। দেরিতে হলেও জেলা শিক্ষা আফিস এ ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করি। এ ছাড়াও তাকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’

রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানার পর জেলা শিক্ষা অফিসারকে এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছিলাম। সরকারি চাকরিতে এভাবে ছুটি নেয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। তিনি এর মাঝে কোনো বেতনও তোলেননি বলে জানতে পেরেছি।’

0 Response to "ছুটি নিয়ে এক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলশিক্ষিকা"

Post a Comment

Ads